ঢাকা ২৪শে জানুয়ারি, ২০২১ ইং | ১০ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২০
জনকল্যাণ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের বদরুন্নেছা প্রাইভেট হাসপাতালে ডাক্তারের গাফিলতির কারনে সাড়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার রাত ৯ টায় ঘটনাটি ঘটে। লিলি বেগম মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের বলিয়ারবাগ গ্রামের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী আহাদ মিয়া স্ত্রী।
অভিযোগ রয়েছে, ইতোমধ্যেই একাধিক ভুল চিকিৎসা বা ডাক্তারের অবহেলার কারণে অনেক গর্ভবতী মহিলার প্রাণ ঝড়ে গেছে অকালে। হয়েছে অনেক প্রতিবাদ তবুও বদরুন্নেসা প্রাইভেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।
গত বুধবার রাতে সাড়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা লিলি বেগম চিকিৎসা নিতে আসেন বদরুন্নেসা প্রাইভেট হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা সেবার নামে লিলি বেগমের পরিবারকে আতংকিত করে তুলেন এবং বলেন গর্ভবতীকে সিজার না করালে তাকে বাঁচানো যাবে না। লিলির পরিবারকে বাধ্য করা হয় সিজার করাতে। একপর্যায়ে লিলিকে সিজার করার কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে এর কিছুক্ষণ পর জানানো হয় লিলি মারা গেছেন এরপর থেকে ডাক্তার নার্স আয়া পর্যন্ত পালিয়ে যান।
পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, বদরুন্নেসা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে কোন চিকিৎসা না দেয়ায় রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ ঘটিকায় তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের লোকজন বলেন, আমরা হাসপাতালে নিয়ে এসেছি পরীক্ষা করানোর জন্য অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান গর্ভবর্তী মহিলার সিজার করতে হবে তা না হলে রুগিকে বাঁচানো যাবে না। ফলে সিজার করতে নিয়ে যান এর কিছুক্ষন পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান গর্ভবতী নারী মারা গেছেন তখন পরিস্থিতির ঘোলাটে হবে ভেবে তাংক্ষনিক ডাক্তার,নার্সসহ স্টাফ কর্মচারী সবাই প্রায় ২ঘণ্টা গা ঢাকা দেন।
যার জন্য রোগীর অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী করা তীর সরাসরি গিয়ে পড়েছে বদরুন্নেসার ডাক্তার ও সংশ্লিষ্টদের উপর। স্থানীয় বাসিন্দাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স, আয়াসহ অন্যন্যেদের দেখতে না পেয়ে সবাই হতাশ হয়ে যান এবং হাসপাতালটিকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। সবার একটাই প্রশ্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালাবে কেন,কারণ কি ও বাচ্চাকে বাঁচানোরও কি দায়ভার ছিল না ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের?
মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চারিদিক থেকে লোকজন ছুটে আসলে হৈ হুল্লোর ও চিৎকার শুরু হয় এবং বদরুন্নেছা হাসপাতালকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনগত বিষয়ে সহযোগিতায় আশ্বস্থ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রধান উপদেষ্টা: এড. শাহীনূর পাশা চৌধুরী
উপদেষ্টা সম্পাদক: আব্দুল গাফফার
সম্পাদক: মাসুম আল মাহদী
নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল্লাহ সালমান
বার্তা সম্পাদক: ফরিদ আহমদ ফেরদাউস
অফিস: ৩য় তলা রংমহল টাওয়ার, বন্দরবাজার, সিলেট
ইমেইল: news.jonokollan24@gmail.com
ফোন: 008801719291430
Design and developed by syltech