ঢাকা ৫ই মার্চ, ২০২১ ইং | ২০শে ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ২২, ২০২০
নবী হোসেন কক্সবাজার থেকে: টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা জসিম মাহমুদ বলেন, টেকনাফের সৈকত ও নাফনদীর সংযোগ স্থলের মোহনা ঘোলারচর পয়েন্টে একটি মাছ দেখতে পেয়ে ছোট শিশুরা খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ৬ ফুট লম্বা মাছ দেখতে পাওয়া ডায়। প্রথমে মাছটির উপরের অংশ দেখে মনে হয়েছে এটি ডলফিন আর পেটের নিচের অংশ দেখে মনে হয়েছে এটি তিমি। বর্তমানে মাছটি ঘোলারচর পয়েন্টের বালিয়াড়িতে পড়ে রয়েছে। মনে হচ্ছে, নাফ নদীতে প্রবেশের সময় মাছটি বালুরচরে আটকা পড়ে মারা গেছে। তবে শনিবার (২০ জুন) শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সৈকতে যে তিমিটি দেখা গিয়েছিল এটি সেটি নয়। কারণ ওই তিমিটি এটার চেয়ে বড় ছিল।
উল্লেখ্য, শনিবার (২০ জুন) টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সৈকতে দেখা মেলে একটি বিরল প্রজাতি তিমির। তিমির বাচ্চাটি ব্লকে আঘাত পেয়ে রক্তাক্তও হয়। পরে জোয়ারের পানিতে বারবার ব্লকে আটকা পড়লে স্থানীয় যুবক ও জেলেরা এটিকে সাগরে ফিরে যেতে সহায়তা করে। ওই তিমিটি ব্রীডস হোয়েল প্রজাতির তিমি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সাইদুর রহমান চৌধুরী বলেন, টেকনাফ সৈকতে মারা যাওয়া জলজপ্রাণীটি তিমি। এটি তিমির বাচ্চাও বলা ঠিক হবে না; কারণ এটির সাইজে দেখে মনে হচ্ছে মধ্য বয়সী একটি তিমি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৮ প্রজাতির তিমি আছে সেটা রেকর্ড রয়েছে। তার মধ্যে টেকনাফ সৈকতে মারা যাওয়া তিমিটি কোন প্রজাতির সেটা ছবি কিংবা ভিডিও দেখে বোঝা খুবই কঠিন। তার উপর দেখা গেছে ওই তিমির শরীরের উপরের অংশে চামড়াও ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে। সম্ভবত এই তিমি অসুস্থও হতে পারে।
কি কারণে তিমিটি মারা গেছে এমন প্রশ্নে অধ্যাপক সাইদুর রহমান চৌধুরী বলেন, এই তিমিটি কি কারণে মারা গেছে এটা বলা অসম্ভব। কারণ এখন তো সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ; যদি সাগরে জেলেরা মাছ ধরতো তখন বলা যেত জেলেদের আঘাতে সেটি মারা গেছে। এখন তো সেটিও বলা যাবে না। হয় তো অসুস্থতার কারণে বিভ্রান্ত হয়ে টেকনাফ সৈকতের কিনারায় এসে তিমিটি মারা যায়।
সেভ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, একের পর এক সৈকতে আমরা বিরল দৃশ্য দেখছি। সাগরে ডলফিন দলের খেলা। তারপর তিমির দেখা। এটি সত্যি আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। তবে সোমবার টেকনাফ সৈকতে তিমি মারা যাওয়াটি খুবই দুঃখজনক।
তিনি আরো বলেন, এখন দাবি থাকবে যেহেতু কক্সবাজার সৈকতে এখন তিমির অবস্থান দেখা যাচ্ছে; সেহেতু কোষ্টগার্ড ও উপকূলীয় বন বিভাগ এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী স্থানীয়দের এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত। এছাড়াও এই বিষয়ে পরবর্তী আপডেট জনসাধারণকে জানানো প্রয়োজন বলে মনে করছি।
প্রধান উপদেষ্টা: এড. শাহীনূর পাশা চৌধুরী
উপদেষ্টা সম্পাদক: আব্দুল গাফফার
সম্পাদক: মাসুম আল মাহদী
নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল্লাহ সালমান
বার্তা সম্পাদক: ফরিদ আহমদ ফেরদাউস
অফিস: ৩য় তলা রংমহল টাওয়ার, বন্দরবাজার, সিলেট
ইমেইল: news.jonokollan24@gmail.com
ফোন: 008801719291430
Design and developed by syltech