ঢাকা ২রা মার্চ, ২০২১ ইং | ১৭ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২০
জনকল্যাণ ডেস্কঃ- আল্লাহপাক রাব্বুল আ-লামীন পৃথিবীতে এমনও অনেক মানুষ সৃষ্টি করেছেন যারা আপন যোগ্যতা ও বিচক্ষণতায় অনন্য। আপন নীতি ও বিশ্বাসের ওপর যারা সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় দৃঢ় ও অবচিল। কুরআন ও সুন্নাহ নির্ভর যাদের পথচলা। পা থেকে মাথা পর্যন্ত যারা সুন্নতের রঙ্গে রঙ্গীন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা সত্য ও ন্যায়ের পথে নিজের জীবন বিলীন করে দিচ্ছেন সেই মহারত্মদের একজন হলেন উস্তাদে মুহতারাম জামেয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদ পুর মাদ্রাসার শায়খে ছানী শ্রদ্ধেয় চাচাজান হযরতুল আল্লাম হযরত মাওলানা মাহমুদুর রহমান সাহেব তালবাড়ী ।
জন্ম: হযরত মাওলানা মাহমুদুর রাহমান চৌধুরী সাহেব 1960 সালের 1 জানুয়ারি ঐতিহ্যবাহী কানাইঘাট থানার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব তালবাড়ী গ্রামে এক দ্বীনদার ফ্যামিলিতে জন্ম গ্রহণ করেন ।
পিতা : মরহুম বরকত উল্লাহ চৌধুরী সাহেব যিনি ইলমি অঙ্গনের পরিচিত মুখ হাজার হাজার শায়খুল হাদীস গড়ার সফল কারিগর الهدية المرضية এর মুছান্নিফ মুফতি রহমতুল্লাহ রঃ এর ভাই ।
মাতা: ছফিনা বেগম চৌধুরী ।
শিক্ষা : মৌলিক শিক্ষা নিজ মাতা পিতার কাছ থেকে অর্জন করে একাডেমিক শিক্ষা অর্জন করার জন্য তালবাড়ী বীরদল নেছারিয়া ফয়জে আম মাদ্রাসায় ভর্তি হোন, সেখানে মুতাঃ 3য় পর্যন্ত লেখা পড়া করেন ।
1971 সালের পূর্ব পর্যন্ত মুফতি রহমতুল্লাহ রঃ জামেয়া এমদাদিয়া কিশোরগঞ্জে শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জ ছেড়ে মুফতি রহমতুল্লাহ সাহেব বাড়িতে চলে আসলে মুফতি রহমতুল্লাহ সাহেবের কাছে আজিজুল মুবতাদী শিক্ষা অর্জন করেন ।
1394 হিজরীর শাওয়াল মাসে জামেয়া কাসিমুল উলূম দরগাহ মাদ্রাসায় মুতাঃ 4র্থ বর্ষে ভর্তি হোন , তখন মুফতি রহমতুল্লাহ সাহেব দরগাহ মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষাসচিব ছিলেন এবং হযরতের তা’লীমী মুরব্বি ছিলেন ।
লেখা পড়ায় তিনি খুব মনোযোগী ও অত্যন্ত পরিশ্রমী ছিলেন যার কারণে প্রতিটি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হতেন ।
দরগাহ মাদ্রাসায় তখনকার সময়ে অনেকবার বোর্ডিংয়ে টানাপোড় দেখা দেয় ! যার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার সরবরাহ করা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায় ! ছাত্ররা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করতেন তখন তিনি সেই কষ্টকে ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্জনের জন্য আনন্দ চিত্তে মেনে নিয়েছিলেন যার কারণে আজ বাংলাদেশের বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধন্য শায়খুল হাদীস ।
1401 হিজরী সনে মুফতি রহমতুল্লাহ সাহেব সহ কয়েকজন শিক্ষক জামেয়া ইসলামিয়া রাজাগঞ্জ চলে আসলে হযরতও তাদের সাথে রাজাগঞ্জ মাদ্রাসায় চলে আসেন এবং দাওরায়ে হাদীসে ভর্তি হয়ে জামেয়া হুসাইনিয়া গহরপুরের অধীনে বেফাকুলমাদারিসিল আরাবীয়া বোর্ডের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হোন।
শিক্ষকতা: 1401 হিজরী সনে লেখা পড়ার সর্বোচ্চ ক্লাস দাওরায়ে হাদীস সমাপন করে 1401 হিজরীর শেষের দিকে দারুল উলূম দেউলগ্রাম মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত হোন , দীর্ঘ 19 বতসর সেখানে বিভিন্ন ফুনুনাতের কিতাবাদী অত্যন্ত সুনামের সাথে শিক্ষা দেন । 1417 হিজরীতে তার কর্মদক্ষতা ও কর্মতত্পরতা দেখে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিক্ষা সচিবের দায়িত্ব অর্পণ করেন । 1420 হিজরী পর্যন্ত মোট তিনটি বত্সর অত্যন্ত পরিশ্রম করে শিক্ষাসচিবের দায়িত্ব আঞ্জাম দেন যার মেহনতের ফলে মাদ্রাসার লেখাপড়ার মান আরো উন্নত হয় । 1420 হিজরী 2000 সালে তিনি সেচ্ছায় দেউলগ্রাম মাদ্রাসা থেকে বিদায় নিয়ে আসেন এবং পরবর্তী সময়ে যোগ দেন বাংলাদেশের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর ।
2000 সাল থেকে অদ্যাবধি জামেয়া মাদানিয়া আঙ্গুর মুহাম্মদপুরে হাদীসের খেদমত করে চলে আসছেন ।
1427 হিজরী সনে বীরদল মজুমদারমাটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ক্বারী রফিকুদ্দীন রঃ পরপারে পাড়ি জমালে তিনাকে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চাপালে নিরুপায় হয়ে তা গ্রহণ করেন । তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মাদ্রাসা দিন দিন উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে! , এলাকাবাসীর দিল মাদ্রাসা মুখী হচ্ছে । তিনার পরিশ্রমে আজ মাদ্রাসা বিরাট এক এরিয়ার মালিক হয়েছে, তিনতলা একটি ভবন ও চোখধাঁধানো একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছে মাদ্রাসার আঙ্গিনায় ।
বিবাহ: কানাইঘাট থানার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের বীরদল আগকুপা গ্রামের মাস্টার আজির উদ্দীন সাহেবের মেয়ে মোছাঃ খাদিজা বেগমের সাথে দাম্পত্য জীবনের সূচনা করেন । বর্তমানে তাদের এই দাম্পত্য জীবনে চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ে নিয়ে সাংসারিক জীবন যাপন করছেন ।
মেহমান_নেওয়াজ: ছাত্র ভক্ত অনুরক্ত অনুরাগীরা তিনার খোঁজখবর নিতে বা স্বীয় সমস্যার সমাধান খুঁজতে তিনার কাছে আসলে মেহমানদারী না করিয়ে কাউকে বিদায় দিতে দেখিনি , এই মেহমানদের মেহমানদারী করতে কখনও কার্পণ্য ও করতে দেখিনি, পরিবারের সকল সদস্য মেহমান নেওয়াজীর জন্য ফেদা , ফন্নে বালাগাতের ভাষায় এই পরিবারকে কাছিরুররামাদ সিফাতে ভূষিত করা যেতে পারে।
সহপাঠী: বাংলাদেশের মধ্যে হাতেগোনা শায়খুল হাদীসদের মধ্যে অন্যতম শায়খুল হাদীস লন্ডন প্রবাসী শায়খুল হাদীস আল্লামা মাহমুদুল হাসান সাহেব ও দয়ামীর মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস ও মুহতামীম মাওলানা নযরুল ইসলাম সাহেব ও প্রমুখ ।
আসাতাযায়ে_কেরাম:
মাওলানা কারী রফিকুদ্দীন সাহেব বড়ো মেছাব
আরিফ বিল্লাহ আকবর আলী দরগাহের ইমাম সাহেব
মুফতি রহমতুল্লাহ সাহেব
মুফতি আব্দুল হান্নান সাহেব নবিগঞ্জী
শায়খুল হাদীস আল্লামা কুতুব উদ্দীন সাহেব
শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসহাক সাহেব
মাওলানা আবুল হাসান সাহেব ছোট মেছাব
আল্লামা নজির আহমদ সাহেব ঝিঙ্গাবাড়ী আল্লামা মুহিবুল হক গাছবাড়ী সাহেব
ক্বারী তৈয়বুল্লাহ সাহেব প্রমুখ ।
ছাত্র: দীর্ঘ ঊনচল্লিশ বত্সর থেকে দ্বীনী খিদতাম আঞ্জাম দিয়ে আসছেন যার ফলে হাজার হাজার মুহাদ্দীস ও শায়খুল হাদীস জন্ম নিয়েছেন এই ক্ষণজন্মার কাছ থেকে ! কাদের কথা উল্লেখ করবো আর কাদের কে ছাড়ব? এক কথায় সিলেটের অধিকাংশ মাদ্রাসার শিক্ষকদের মধ্যে এমন পাওয়া দুঃশকর হবে যে মাদ্রাসায় তিনার ছাত্র বা ছাত্রের ছাত্র নেই ! ।
হাফিয মাওলানা তাজাম্মুল আমিন মুহাদ্দীস ও নাযিমে তা’লীমাত শাহপরান মাদরাসা।
হাফিয মাওলানা রশীদ আহমদ মুহাদ্দীস শাহপরান মাদ্রাসা
হাফিয মাওলানা আবদুল্লাহ নাযিমে তা’লীমাত দারুল হুদা সিলেট
মাওলানা সাঈদুর রহমান সাহেব নাযিমে তা’লীমাত বহরগ্রাম মাদরাসা।
মাওলানা এনামুল হক মুহতামীম বহরগ্রাম মাদ্রাসা
মাওলানা মাহফুজ আহমদ বারঠাকুরী সাবেক শিক্ষক আঙ্গুরামুহাম্মদ পুর মাদ্রাসা ও মাওলানা ইকবাল হুসাইন নগরী মুহাদ্দীস আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর মাদ্রাসার মাওলানা আব্দুল কাদীর মুহাদ্দীস আঙ্গুরা মুহাম্মদ পুর মাদ্রাসা মাওলানা রুহুল আমীন তালীমপুরী মুহাদ্দীস বুধবারীবাজার মাদ্রাসা প্রমুখ ।
আধ্যাত্মিকতা: প্রথমে কারী তায়্যিব রঃ এর কাছে বয়াত গ্রহণ করেন , হযরতের ইন্তেকালের পর আসআদ মাদানী রঃ সিলেট সফর কালে তার হাতে বয়াত গ্রহণ করেন এবং
1417 হিজরী মুতাবিক 1997 ঈসায়ীতে হযরত আসআদ মাদানী রঃ ঢাকার চৌধুরী পাড়া মাদ্রাসায় এতেকাফ করলে তিনি পূর্ণ রমজান মাস মাদানী রঃ এর সুহবতে কাটান এবং 1998 ইংরেজী সনে মাদানী রঃ এর নির্দেশে রমজান মাসে দেওবন্দ সফর করেন এবং পূর্ণ রমজান মাস সেখানে অতিবাহিত করেন । পরের বছর ওয়ালিদা মুহতারামার অসুস্থতার কারণে দেওবন্দ সফর করতে পারেন নি । এমন সময় ফেদায়ে মিল্লাত রঃ এর ইন্তেকালের খবর পেয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন, নতুন মুর্শিদের সন্ধান খুজতে থাকেন এবং 1427 হিজরী রমজান মাসে শাহবাগ কচুয়া মসজিদে হযরত মাওলানা মুকাদ্দাস আলী সাহেবের কাছে বয়াত গ্রহণ করেন এবং 1429 হিজরী রমজান মাসে মুন্সীবাজার খানকায় তিনি ইজাজত প্রাপ্ত হন ।
আল্লাহ্ পাক হযরতকে এমন কিছু গুণ দান করেছেন যা সচরাচর সকলের মধ্যে পাওয়া দুঃশকর !।
মাদ্রাসার সকল ছাত্র শিক্ষকদের আশ্রয়স্থল, মন খোলে ছাত্ররা সুখ দুঃখ হযরতের সাথে শেয়ার করতে পারে , তিনার কাছ থেকে ছাত্ররা পায় সঠিক পরামর্শ যা জীবন চলার পাথেয় হয়ে থাকে ! যতই ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে হযরতের সামনে হাজির হবেন যার দরদমাখা কথায় দু এক মিনিটের মাথায় দূর হয়ে যায় সকল চিন্তা ! আমার জীবনের প্রতিটি প্রদক্ষেপ হযরতের পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করি জীবনের সুখ দুঃখ শেয়ার করে তাইতো নিজ পিতাজীর কাছে কোনো কিছুর পরামর্শ চাইলে পিতাজী পরামর্শ দিয়ে হযরতের দিকে পাঠিয়ে দেন । যার জন্য হযরতের কাছ থেকে সর্ব বিষয়ে পরামর্শ নিতে দেখা যায় এমন ব্যক্তিদের যারা তিনার একাডেমিক ছাত্র নয় । আঙ্গুরা মুহাম্মদ পুর মাদ্রাসার এলাকায় সকলের কাছে শ্রদ্ধার একটি নাম তালবাড়ী হুজুর ।
আল্লাহ্ পাক যাকে দান করেছেন এমন বিচক্ষণতা যার কারণে প্রতিটি সেকশনে রয়েছে যার সুনাম।
দৈনন্দিন জীবনে সকল সুবুহাত থেকে পরহেয করে চলা যার নিত্যদিনের সঙ্গী! । শিক্ষক নির্বাচনে যার রয়েছে অসামান্য চৌকান্যতা, যার প্রশংসা মানুষ গড়ার সফল কারিগর মুফাক্কিরে ইসলাম উস্তাদে মুহতারাম আল্লামা শায়খ জিয়া উদ্দীন সাহেবের কাছ থেকে বারবার শুনেছি ।
মুআসারাত:
অধীনস্থদের সাথে যার ব্যবহার প্রশংসনীয়,যার চলনে বলনে কেউ কষ্ট পেয়েছেন এমন নজির নেই!। তিনার অধীনস্থ হয়ে সাড়ে চার বৎসর শিক্ষকতা করেছি ! সেই সাড়ে চার বৎসরে অনেক ভুল ভ্রান্তি হয়েছে কিন্তু কখনও জুলুম বা কটু কথা বলেননি , আদর যত্ন আর সোহাগ দিয়ে শুধরিয়ে দিয়েছেন বারবার! অথচ চোখ খুললে বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে মুহতামীম সাহেবানদের থেকে অধীনস্থদের সাথে যে জুলুম আর নির্যাতনের কথা শুনা যায় সেই জুলুমের কথা হযরতের অধীনস্থদের কেউ বলার সুযোগ পাবে না ।
শায়খুল হাদীস আল্লামা মাহমুদুর রহমান সাহেব তালবাড়ী হাফিজাহুল্লাহ। সিলেট তথা বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামের মধ্য থেকে একজন বরেণ্য আলিমেদ্বীন। আপন নীতি ও বিশ্বাসের ওপর অটল অবিচল আপসহীন এক মর্দে মুজাহিদ। কুরআন ও হাদীসের খিদমতে নিবেদিতপ্রাণ এক মহামানব। যার প্রতিটি কথা ও কাজ হয়ে থাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে। তিনি নিজে যেটাকে হক বুঝেন সেটার ওপর ইস্তেকামত থাকতে পছন্দ করেন। তবে এক্ষেত্র কুরআন ও সুন্নাহর পরিপূর্ণ অনুসরণ করে চলেন। শরীয়ত পরিপন্থী কোনো বিষয়কে যদি কেউ হক হিসেবে দাঁড় করাতে চায়, আর তাঁর বুঝমতে সেটা যদি শরীয়ত পরিপন্থী হয়ে থাকে তাহলে এটাকে তিনি মেনে নিতে পারেন না।
সময়ের পরিবর্তনে বার্ধক্য ঘনিয়ে আসছে! বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় দিন দিন শরীর দুর্বল করে দিচ্ছে! সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী আল্লাহ্ পাক যেনো শ্রদ্ধেয় উস্তাদজীকে সুস্থতার সহিত নেক হায়াত্ দান করেন । আমীন
লিখেছেনঃ-
মাওলানা জাহিদ নাসির চৌধুরী
হযরতের ভাতিজা ও ছাত্র ।
প্রধান উপদেষ্টা: এড. শাহীনূর পাশা চৌধুরী
উপদেষ্টা সম্পাদক: আব্দুল গাফফার
সম্পাদক: মাসুম আল মাহদী
নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল্লাহ সালমান
বার্তা সম্পাদক: ফরিদ আহমদ ফেরদাউস
অফিস: ৩য় তলা রংমহল টাওয়ার, বন্দরবাজার, সিলেট
ইমেইল: news.jonokollan24@gmail.com
ফোন: 008801719291430
Design and developed by syltech