ঢাকা ২২শে জানুয়ারি, ২০২১ ইং | ৮ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:১৭ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০২০
কয়েক হাজার মানুষ পানিতে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। ঘটনাটি খুলনার সুন্দরবনের একেবারে কোলঘেঁষা কয়রা উপজেলায়। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে কয়রা উপজেলার ২ নম্বর কয়রাসহ কমপক্ষে বিশ জায়গায় বেড়িবাঁধে ভা’ঙন দেখা দেয়। এতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়। এলাকাবাসী শুরু থেকেই নিজেরা নিজেদের চেষ্টায় বাঁধের ভা’ঙ্গন ঠে’কানোর চেষ্টা করছিলেন।
২ নম্বর কয়রায় বাঁধের চার জায়গায় ভা’ঙনের সৃষ্টি হয়। সেখানে প্রতি জোয়ারেই পানি ওঠে। এলাকাবাসীও এবার পানি আটকানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করছিল। এর মাঝেই আজ সোমবার মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। কিন্তু কোথায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন, চারিদিকেই পানি থৈ থৈ।
ঈদগাহগুলোও পানির তলায়। একদিকে ঈদের নামজ আদায় করা, অন্যদিকে ভা’ঙা বাঁধ আটকানো না গেলে পানিতে তলিয়ে থাকা। ফলে এলাকাবাসী সিদ্ধান্ত নেন, তারা বাঁধ আট’কানোর কাজ করবেন। আবার ঈদের নামাজও আদায় করবেন। তাই পানিতেই দাঁড়িয়েই ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
এলাকার যুবক ইমতিয়াজউদ্দিন, যিনি গত তিন দিন ধরে বাঁধ আট’কানোর জন্যে স্বেচ্ছাশ্রমে মাটির কাজ করছিলেন, তিনি বলেন, উপয়ান্তর না দেখে এলাকাবাসী সিদ্ধান্ত নেয় পানিতে দাঁড়িয়েই ঈদের নামাজ আদায় করবেন। সিদ্ধান্ত মতো, সোমবার সকালে ২ নম্বর কয়রার হাজার পাঁচেক মানুষ পানিতে দাঁড়িয়েই ঈদের নামাজ আদায় করেন। একইসাথে বাঁধ আট’কানোর কাজও চলে। শুধুমাত্র নামাজ আদায়ের সময় কাজ বন্ধ ছিল। তাঁরা বাঁধের একটি ভা’ঙন আ’টকাতে সক্ষম হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে আরও দুই জায়গার ভা’ঙন আ’টকানো সম্ভব হবে।
-কালের কণ্ঠ
প্রধান উপদেষ্টা: এড. শাহীনূর পাশা চৌধুরী
উপদেষ্টা সম্পাদক: আব্দুল গাফফার
সম্পাদক: মাসুম আল মাহদী
নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল্লাহ সালমান
বার্তা সম্পাদক: ফরিদ আহমদ ফেরদাউস
অফিস: ৩য় তলা রংমহল টাওয়ার, বন্দরবাজার, সিলেট
ইমেইল: news.jonokollan24@gmail.com
ফোন: 008801719291430
Design and developed by syltech